“চান্দনা চৌরাস্তার রক্তাক্ত রাত — সাংবাদিক তুহিন হত্যায় এক দম্পতিসহ ৭ জন গ্রেপ্তার”
গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এর সাহসী স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এক দম্পতিসহ মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (৭-৮ আগস্ট) রাতে পৃথক অভিযানে তাঁদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সর্বশেষ শুক্রবার রাতে ধরা পড়েন— মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপি, মো. স্বাধীন এবং আল–আমিন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। তাঁরা সকলে একটি সক্রিয় ছিনতাইকারী দলের সদস্য।
অভিযান ও গ্রেপ্তারের বিবরণ
ঘটনার পরপরই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হয়। এরপর তিনটি ভিন্ন টিম অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মিজান ও তাঁর স্ত্রী গোলাপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে গাজীপুর শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে স্বাধীন এবং ঢাকার তুরাগ থানা এলাকা থেকে আল–আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার ভয়াবহতা
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ৫–৬ জন দুর্বৃত্ত তুহিনকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। জীবন বাঁচাতে তিনি ঈদগাহ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। কিন্তু দুর্বৃত্তরা দোকানের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
নিহত তুহিন (৩৮) ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি পরিবার নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বসবাস করতেন।
পরদিন শুক্রবার সকালে নিহতের বড় ভাই মো. সেলিম হোসেন বাসন থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান বলেন—
“সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
Leave a Reply