নিউজ ডেস্ক।।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে চাঁদা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এক ড্রেজার ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে এলোপাতাড়ি মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো নোমান, নিশাদ, রাজিব ও মারুফ। নগরীর ফলপট্রি এলাকার হোটেল পার্ক থেকে আসামীদের গ্রেফতার করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এর আগে গত পহেলা এপ্রিল মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ৭ নং ওয়ার্ডের বদরপুর এলাকায় হামলার ঘটনায় ঘটে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সজিব হোসেন। তিনি ঐ এলাকার আলম বেপারীর ছেলে। হামলায় ১২ জনকে আসামী করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সজিবের স্ত্রী সাথী বেগম। অন্য আসামিরা হলেন, পারভেজ, আলামিন, ইব্রাহিম,শরীফ, মাইদুল, ইয়ামিন, হেলাল, আল আমিন।
মামলায় সাথী জানান, আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল। এ নিয়ে তারা বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধামকিও প্রদান করে। একপর্যায়ে আমার স্বামী তাদের হুমকিতে ভীত হয়ে প্রথমে ১৪ হাজার টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আসামিরা পুনরায় আমার স্বামীর কাছে মোটা চাঁদা দাবি করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত পহেলা এপ্রিল আমার স্বামী ড্রেজার ভাড়ার টাকা উত্তোলন করে বাড়ির দিকে রওয়ানা দিলে প্রধান আসামী পাতারহাট বাজার থেকে ধুলিয়া মধ্যচর এলাকায় মুঠোফোনে আসতে বলে।
সাথী জানান, আমার স্বামী প্রধান আসামীর কথা অনুযায়ী ঐ স্থানে গেলে তাকে ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে অবরুদ্ধ করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। একপর্যায়ে তিনি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এছাড়া তার সাথে থাকা প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়৷
সাথী জানান, বিষয়টি অনেকেই জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশকে জানালে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
এদিকে আসামিরা নিজেদের বাঁচানোর জন্য অপকৌশলের আশ্রয়ে স্থানীয় কু-চক্রি মহলের সহায়তায় ১০ (দশ) পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে আমার স্বামীকে ফাসিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমার স্বামীমে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে আসামীদের মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় আমার স্বামীর বিরুদ্ধে জি.আর মামলা গ্রহন করে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ ঘটনায় মিথ্যা অভিযোগে ফাসানো ও মারধর করায় আসামীকে বিচার চেয়ে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন সাথী বেগম।
Leave a Reply