মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি।।
হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউপি সদস্য নান্টু বেপারী হত্যা মামলায় আপোস-মীমাংসা না করায় বাদী নাগর বেপারীকে বিভিন্ন মামলা-হামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। মামলার আসামি রত্তন রাঢ়ী ওরফে বোবা রত্তন ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়। হত্যা মামলায় আপোস-মিমাংসার জন্য বাদী পরিবারকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোভ দেখিয়েছিলো। নিহত নান্টু বেপারির আরেক ভাই হারুন অর রশিদ বেপারী বলেন আমার ভাই নান্টু হত্যার বিচার আগেও চেয়েছি, এখনও চাই। বোবা রত্তন আপোসে ব্যর্থ হয়ে আমার ছোট ভাই মামলার বাদী নাগর বেপারিকে বিভিন্নভাবে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে আসছে। সম্প্রতি ধুলখোলা ইউনিয়নে জেলে শরীফ তফাদার (২৪) কে পিটিয়ে হত্যা করেন একদল চাদাবাজ। ওই ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে হিজলা থানায় ঘটনার সাথে জড়িতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না নাগর বেপারি এমনকি মামলার এজাহারেও তার নাম নেই। তবুও ষড়যন্ত্রমুলকভাবে তাকে সন্দেহজনক আসামি হিসাবে গ্রেফতার করে হিজলা থানা পুলিশ। পরে তাকে শরিফ তফাদার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করে জেলহাজতে প্রেরন করেন। অথচ ওই মামলায় তিনি আসামী নন কিংবা নিহতের পরিবারও তার নামে কোন প্রকার অভিযোগ করেননি। শনিবার সকালে এই অভিযোগ করেন হারুন অর রশিদ বেপারী। তিনি তার ভাই নাগর বেপারিকে মিথ্যা হয়রানির মামলা থেকে অব্যাহতি ও ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেন। আরো বলেন নান্টুর খুনি বোবা রত্তন ও তার ছেলেরা ওই ইউনিয়নে এক বছর আগে জামাল মাঝি নামের আরো একজনকে খুন করেন। এখনি তাদের লাগাম টেনে না ধরলে ওরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে। মেঘনায় ডাকাতি, গরু চুরি, চাঁদাবাজী ও চুরির ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছেন অহরহ। এরা বাপ-বেটা একাধিকবার গ্রেফতার হলেও জামিনে বের হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন। বর্তমানে এদের গড ফাদার হিসেবে কাজ করছেন উপজেলা বিএনপির এক নেতা। উল্লেখ্য গত (১৫জুলাই) ২০১৫ ইং ২৭ ই রমজানে ধুলখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নান্টু বেপারিকে দিনদুপুরে প্রকাশ্য খুন করা হয়। সেই মামলায় আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে রায় হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। মামলার রায়ের তারিখ ঘনিয়ে আসায় বাদীকে আটকানোর জন্য আসামী পক্ষ নানা চক কষছেন। এই বিষয়ে অভিযুক্ত রত্তন রাঢ়ী বলেন, আমরা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করিনি তবে শুনেছি আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলার বাদী নাগর বেপারি অন্য একটি মামলায় জেলহাজতে রয়েছে। ২০ লাখ টাকায় বাদী পক্ষকে আপোষের প্রস্তাবের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। হিজলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম আজাদ এই বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নাগর বেপারিকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে তা বলা যাবে না। যেহেতু শরীফ তফাদার খুনের তদন্ত চলছে।
Leave a Reply