নিজস্ব প্রতিবেদ।।
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নাসির ও পুলিশের চাকরিচ্যুত মামুনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজি ও মাদক বাণিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বরিশালের বিমানবন্দর থানা এলাকার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে দিনমজুর ও ছোট ব্যবসায়ীরা তাদের হুমকি ও জুলুমের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
ভুক্তভোগী জিমন তালুকদার অভিযোগ করে জানান, তিনি একটি গ্যারেজ পরিচালনা করেন। সম্প্রতি মামুন তার ট্রাক মেরামতের জন্য জিমনের গ্যারেজে আনেন। মেরামতের কাজের হিসাব জিমন মামুনকে দিলে, মামুন জানিয়ে দেয়, সে পুরো টাকা দিবে না—আংশিক টাকা দিবে তার গাড়ি ঠিক করতে হবে। জিমনের দাবি, আগের পাওনা টাকাও এখনো পরিশোধ করেনি মামুন।
এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মামুন নাসির ও তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে গ্যারেজে এসে জিমনকে হুমকি দেয়। তারা বলে, “এলাকায় ব্যবসা করতে হলে আমাদের কথা শুনতে হবে, না হলে ব্যবসা করতে পারবে না। তাদের টাকা দিয়েই ব্যবসা চালাতে হবে।”
পরবর্তীতে জিমন তালুকদার বিমানবন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে একটি সমঝোতার চেষ্টা হলেও মামুন ও নাসির সেখানে উপস্থিত না হয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে।
বিমানবন্দর থানার ওসি জাকির শিকদার বলেন, অভিযোগটি তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হবে। অপরাধী যেই হোক যে দলেরই হোক অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে।
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার এএসআই পলাশ জানান, “ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। দোষী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং প্রয়োজনীয় শাস্তি প্রদান করা হবে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, মামুন ও নাসির দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক বাণিজ্যে লিপ্ত। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে
Leave a Reply