কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জহুরুল ইসলাম নামে এক কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার আল্লারদর্গা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলাম আল্লারদর্গা নুরুজ্জামান বিশ্বাস কলেজের ভূগোল বিভাগের শিক্ষক এবং দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের আলমাতলা গ্রামের মৃত পলান মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আহাদ আলী নয়ন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলামের সঙ্গে তার স্ত্রী ছাবিনা ইয়াসমিন ওরফে তাপুর পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে সোমবার দুপুরে তিনি নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বাড়ির লোকজন জানতে পেরে প্রতিবেশীদের খবর দেয়। পরে প্রতিবেশীরা জহুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়।
তবে নিহতের ভাই ও মামলার বাদী আহাদ আলী নয়নসহ পরিবারের দাবি, জহুরুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলাম আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ভেড়ামারা-দৌলতপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত বলেন, আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে।
পারিবারিক কলহের জেরে জহুরুলকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে তার ভাইয়েরা অভিযোগ করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply