নিউজ ডেস্ক।।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় এক ড্রেজার ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদাদাবি ও ড্রেজার আটকে হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়নের মধ্যচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী সজীব খান।
অভিযুক্তরা হলো-মোঃ মাইদুল ইসলাম, মোঃ রিয়াদ,
মেঃ বাবুল মাঝি, মোঃ মিরাজ জমাদ্দার, মোঃ বাবুল, মোঃ জসিম মোল্লা ও মোঃ বালু মনিরসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জন।
সজীব অভিযোগে জানান,আমি দীর্ঘদিন যাবত ধুলিয়া মধ্যচর এলাকায় বালু কাটা ড্রেজার দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বালু দেই। গত কয়েক দিন যাবত আসামীরা আমার বালু কাটা ড্রেজার নিউওয়ার জন্য পায়তারা করে। আসামীরা আমাকে বলে ধুলিয়া মধ্যেচর এলাকায় বালু কাটার ড্রেজার চালাতে হলে আমি তাদেরকে বলুর ফুট প্রতি ০২ (দুই) টাকা করে দিতে হবে।
আমি আসামীদের কথায় রাজি না হলে আসামীরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। এরইদ ধারাবাহিকতায় গত ১৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯ টায় ১নং আসামী মোঃ মাইদুল ইসলাম আমার বাবহৃত মোবাইল ফোনে কল করে আমাকে বলে, দ্রুত বালুর ড্রেজারের কাছে আসো।
তিনি বলেন, আমি সরল বিশ্বাসে মোটরসাইকেল যোগে একই তারিখ মধ্যেচর এলাকার জনৈক জাফর এর বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছালে সকল আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমাকে পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমি আসামীদেরক গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আসামীরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে এলোপাথারী ভাবে মারধর করে শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম হয়।
সজিব জানান, একপর্যায় আসামী মোঃ মাইদুল ইসলাম এর হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া আঘাত করে। এছাড়া অন্যান্য আসামিরা আমাকে বেধরকভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে মারধর করলে আমি গুরুত্বর আহত হই।
এসময় তারা আমার সাথে থাকা মোবাইল ও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর আসামিরা হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে আমি মোটরসাইল যোগে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে ভর্তি হয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার চিকিৎসা প্রদান করে। আসামীরা একত্রিত হয়ে আমার বালু কাটার ড্রেজার চালিয়ে বিভিন্ন স্থানে বালু দিচ্ছে। ২নং আসামী মোঃ রিয়াজ সরদার আমাকে বলে তুই এখান থেকে ড্রেজার নিতে হলে ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ টাকা দিতে হবে। তা নাহলে আসামীরা ড্রেজাল চালাবে বলে জানায়। এঘটনায় তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
Leave a Reply