ফরিদপুর প্রতিনিধি:টিকাদান কর্মসূচিতে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবীদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়ার প্রতিবাদ করায় ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আফসানা আক্তার শান্তাকে (৩৭) লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুপুরে হাসপাতালের করোনা টিকা কেন্দ্রে ওয়ার্ড মাস্টার আতিয়ার রহমান তাকে ঘুষি মারেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার (১১ আগস্ট) লাঞ্ছিত হওয়া সিনিয়র স্টাফ নার্স আফসানা আক্তার শান্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
হাসপাতালের টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী জানান, তারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ওই টিকাকেন্দ্রে কাজ করেন। কিন্তু হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আতিয়ার রহমান প্রায়ই তাদের কাছ থেকে চাঁদা হিসেবে ১০০ টাকা করে নেন। আজ তারা বিষয়টি জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স আফসানাকে জানান। স্বেচ্ছাসেবীরা প্রতিদিন ২০০ টাকা করে ভাতা পান।
আফসানা আক্তার বলেন, স্বেচ্ছাসেবীরা তার কাছে আতিয়ারের চাঁদাবাজির বিষয়ে অভিযোগ করেন। বেলা দুইটার দিকে আতিয়ার টিকাকেন্দ্রে এলে তিনি এ চাঁদাবাজি ঘটনার প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামে পরিচালিত এ হাসপাতালে চাঁদাবাজি চলতে পারে না। তিনি আগামীতে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে আতিয়ারকে পরামর্শ দেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আফসানা ওই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে ওয়ার্ড মাস্টার আতিয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তিনি আফসানার বাঁ হাতে পরপর তিনটি ঘুষি মারেন।
এ ব্যাপারে আতিয়ারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সাইফুর রহমান বলেন, বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। তবে ওই স্টাফ নার্স এ ব্যাপারে তাকে (পরিচালক) কিছু জানাননি। তিনি (স্টাফ নার্স) ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়েছেন।
পরিচালকের এ দাবি নাকচ করে নার্স আফসানা আক্তার শান্তা বলেন, তিনি বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে পরিচালককে জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরিচালক এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেননি।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, ঘটনাটি জানার পর পুলিশের এক কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওই নার্স থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর ওই ওয়ার্ড মাস্টারকে আটক করেছি।
Leave a Reply