নিউজ ডেস্ক।।
আদাবর থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এ এস আই) মোঃ কামরুল হাসানকে ঘিরে আবারও শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনুসন্ধান ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৮-২০ বছরের চাকরিজীবনে তিনি গড়ে তুলেছেন প্রায় ২ কোটি টাকার নামে-বেনামে সম্পত্তি।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের একটি প্রত্যয়নপত্র অনুযায়ী, হোল্ডিং নং ২৯৪৯ নম্বরে একটি বাড়ি এ এস আই কামরুল হাসানের নামে কর পরিশোধ করা হয়েছে এবং ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত কোনো কর বকেয়া নেই। তবে বাস্তবে ওই বাড়ির প্রধান ফটকে লেখা রয়েছে তাঁর স্ত্রীর নাম, যা প্রশ্ন তোলে প্রকৃত মালিকানা নিয়ে।
অভিযোগ সূত্রে স্থানীয়রা জানান, ফজিলাতুন্নেছা মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন ইহাকাঠি এলাকায় অবস্থিত বাড়িটির মালিকানা হয়তো স্ত্রীর নামে দেখানো হলেও প্রকৃতপক্ষে এ এস আই কামরুলই তা নির্মাণ করেছেন। শুধু এই বাড়িই নয়, কামরুল হাসান নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আরও জমি-বাড়ি কিনেছেন, যেগুলোর মালিকানা আত্মীয়-স্বজন ও স্ত্রীর নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। সরকারি রেকর্ডে এদের অনেকেরই নাম না থাকায় সম্পত্তিগুলো সহজেই নজরের বাইরে থেকে যাচ্ছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে আরও জানা গেছে, তিনি সরকারি চাকরির আড়ালে “কালো টাকা সাদা” করার নিরাপদ পথ হিসেবে এই ধরনের সম্পত্তি বিনিয়োগকেই বেছে নিয়েছেন। এমন সন্দেহের পেছনে যুক্তি হিসেবে স্থানীয়রা বলছেন—একজন মধ্যম সারির পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে এত অল্প সময়ে এত সম্পদ অর্জন স্বাভাবিক নয়।
অপরদিকে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কর শাখায় যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা করদাতার তথ্য প্রকাশে অনীহা প্রকাশ করেন। তবে তারা জানান, “যে নামে কর পরিশোধ হয়, তার ভিত্তিতেই অফিসিয়াল নথি তৈরি হয়।”
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো সরকারি কর্মচারী যদি প্রকৃত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জন করেন বা নিজের পরিবর্তে অন্যের নামে সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করেন, তবে তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অধীন অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
এখন প্রশ্ন উঠেছে—এ এসআই কামরুল হাসানের এই বিপুল সম্পদের উৎস কী? কারা তাঁকে সহায়তা করছে? বিষয়টি দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত এএসআই কামরুলকে ফোন দিলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
Leave a Reply