দীর্ঘ দিন ধরে দলের চেয়ারপার্সন বন্দী থাকার পাশাপাশি কার্যকর কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি দলটি। মূলত কর্মীদের সমর্থন হারিয়ে ফেলায় বিএনপি নেতাদের বক্তৃতা ও আন্দোলনের হুমকি রাজনীতিতে হাস্যরসের জন্ম দিচ্ছে।
বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান ও নেতাদের বক্তৃতার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দলটি সম্পর্কে এমনটাই মন্তব্য করেছেন।
তারা বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চেয়ারপার্সনকে মুক্ত করতে আন্দোলনের ডাক দিলে তা প্রতিহতের শক্তি বর্তমান সরকারের নেই। এ বিষয়টি হাস্যকর মনে হয়েছে। আন্দোলন গড়ে তুলতে যৌক্তিক ও সত্য ইস্যু প্রয়োজন হয়। খালেদা জিয়ার দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় তার সাজা হয়েছে, যা দলের নেতা-কর্মীরাও জানেন। যার কারণে মিথ্যা ও অযৌক্তিক ইস্যুতে তারা আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলায় জড়াতে চাচ্ছেন না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরো বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা হর-হামেশা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন, কথার ফুলঝুরি ঝরাচ্ছেন। তবে লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। সত্যি বলতে, জনসম্পৃক্ততা নেই বিএনপির। যার কারণে আন্দোলনও গড়ে উঠছে না। রাজনীতিতে যখন আপনার প্রতারক চরিত্র উন্মোচিত হয়ে যায়, তখন আসলে বক্তৃতা ও হুংকারই আপনার সম্বল। নীতি-নৈতিকতা হারিয়ে বিএনপির আজ সেই অবস্থাই হয়েছে। রাজপথে নামার যাদের সাহস নেই, তারাই কেবল বাক্যবাণে যুদ্ধে জড়াতে পারে।
এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, রাজপথের কর্মসূচি না থাকায় আজকে বিএনপিকে নিয়ে নানা মুখরোচক গল্প সাজানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, নেতারা মুখে আন্দোলনের ফেনা তুললেও সাংগঠনিকভাবে দলকে গোছাতে পারছেন না। কিছু প্রেক্ষাপটে এমন অভিযোগ সত্য। কারণ কিছু বিতর্কিত বিষয় নিয়ে বিএনপি আন্দোলনে প্রেক্ষাপট রচনার চেষ্টা করছে, যা জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করছে।
Leave a Reply